কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা | নবম-দশম শ্রেণি | পর্ব -০৩

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, গত ২টি পোস্টে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হয়েছিল, এ পর্বেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হল, আশা করছি সবার উপকারে আসবে ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা -পর্ব ০৩

কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন ও জাবেদা দাখিলা

লেনদেন:

কমিশন পাওয়া গেল ৫০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

নগদান হিসাব                       ডেবিট ৫০০ টাকা

কমিশন হিসাব                     ক্রেডিট ৫০০ টাকা

[/box]

লেনদেন:

প্রাপ্য কমিশন ৩০০ টাকা/কমিশন অর্জিত হয়েছে কিন্তু পাওয়া যায়নি ৩০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

প্রাপ্য কমিশন হিসাব               ডেবিট ৩০০ টাকা

কমিশন হিসাব                      ক্রেডিট ৩০০ টাকা

[/box]

[ads1]

লেনদেন:

বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসবাবপত্র ক্রয় ১০,০০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

ক্রয় হিসাব                      ডেবিট ১০,০০০ টাকা

নগদান হিসাব                 ক্রেডিট ১০,০০০ টাকা

[/box]

ব্যাখা : বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসবাবপত্র ক্রয় করলে সেটা পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ক্রয় হিসাব ডেবিট হবে, আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট হবে না ।  বিস্তারিত জানতে পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা   বিষয়ক পোস্টটি দেখা যেতে পারে ।

লেনদেন:

বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত আসবাবপত্র বিক্রয় ১২,০০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

নগদান হিসাব                      ডেবিট ১২,০০০ টাকা

বিক্রয় হিসাব                     ক্রেডিট ১২,০০০ টাকা

[/box]

ব্যাখা : বিগত উদাহরণে দেখানো হয়েছে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসবাবপত্র ক্রয় করলে সেটা পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে । পণ্য বিক্রয় করলে যেমন বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট হয় ঠিক তেমনি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত আসবাবপত্র বিক্রয় করলেও বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট হবে, আসবাবপত্র হিসাব ক্রেডিট হবে না ।

লেনদেন:

পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রয় ৬,০০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

নগদান হিসাব                    ডেবিট ৬,০০০ টাকা

আসবাবপত্র হিসাব                ক্রেডিট ৬,০০০ টাকা
[/box]

লেনদেন:

ঋণের সুদ দেওয়া হল ৬০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

ঋণের সুদ হিসাব            ডেবিট ৬০০ টাকা

নগদান হিসাব                       ক্রেডিট ৬০০ টাকা
[/box]

[ads1]

লেনদেন:

ঋণের সুদ বকেয়া রয়েছে ৬০০ টাকা/অপরিশোধিত ঋণের সুদ ৬০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

ঋণের সুদ হিসাব                   ডেবিট ৬০০ টাকা

বকেয়া ঋণের সুদ হিসাব      ক্রেডিট ৬০০ টাকা
[/box]

লেনদেন:

বিনিয়োগের সুদ পাওয়া গেল ১,০০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

নগদান হিসাব                ডেবিট ১,০০০ টাকা

বিনিয়োগের সুদ হিসাব    ক্রেডিট ১,০০০ টাকা
[/box]

[ads2]

লেনদেন:

বিনিয়োগের সুদ বকেয়া রয়েছে ৯০০ টাকা/বিনিয়োগের সুদ পাওয়া যায়নি ৯০০ টাকা/প্রাপ্য বিনিয়োগের সুদ ৯০০ টাকা/অনাদায়ী বিনিয়োগের সুদ ৯০০ টাকা।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

বকেয়া/প্রাপ্য/অনাদায়ী বিনিয়োগের সুদ হিসাব   ডেবিট ৯০০ টাকা

বিনিয়োগের সুদ হিসাব                ক্রেডিট ৯০০ টাকা
[/box]

লেনদেন:

ব্যাংক সুদ মঞ্জুর করল ৫০০ টাকা/ব্যাংকের নিকট থেকে সুদ পাওয়া গেল ৫০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

ব্যাংক হিসাব                      ডেবিট ৫০০ টাকা

ব্যাংক সুদ হিসাব                ক্রেডিট ৫০০ টাকা
[/box]

ব্যাখ্যা : ব্যাংক সুদ মঞ্জুর করার ফলে ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাই ব্যাংক হিসাব ডেবিট হবে ।  অন্যদিকে ব্যাংক সুদ নামক আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক সুদ হিসাব ক্রেডিট হবে ।

লেনদেন:

ব্যাংক সুদ ধার্য করল ৪০০ টাকা/ব্যাংক সুদ কর্তন করল ৪০০ টাকা।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]

ব্যাংক সুদ হিসাব                  ডেবিট ৪০০ টাকা

ব্যাংক হিসাব                        ক্রেডিট ৪০০ টাকা
[/box]

ব্যাখ্যা : ব্যাংক সুদ ধার্য/কর্তন করার ফলে ব্যাংক সুদ নামক খরচ বৃদ্ধি পায় তাই ব্যাংক সুদ হিসাব ডেবিট হবে। অন্যদিকে ব্যাংক সুদ ধার্য/কর্তন করার ফলে ব্যাংকে টাকার পরিমাণ কমে যায়  তাই ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে ।

লেনদেন:

ব্যাংক চার্য ধার্য করল ৪০০ টাকা/ব্যাংক চার্য কর্তন করল ৪০০ টাকা।

জাবেদা দাখিলা:

[box type=”shadow” align=”” class=”aclass” width=””]
ব্যাংক চার্য হিসাব                   ডেবিট ৪০০ টাকা

ব্যাংক হিসাব                         ক্রেডিট ৪০০ টাকা
[/box]

ব্যাখ্যা : ব্যাংক চার্য ধার্য/কর্তন করার ফলে ব্যাংক চার্য নামক খরচ বৃদ্ধি পায় তাই ব্যাংক চার্য হিসাব ডেবিট হবে। অন্যদিকে ব্যাংক চার্য ধার্য/কর্তন করার ফলে ব্যাংকে টাকার পরিমাণ কমে যায়  তাই ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে ।

 

জাবেদা সম্পর্কিত কিছু পোস্ট:

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা | নবম-দশম শ্রেণি | পর্ব -০১

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা | নবম-দশম শ্রেণি | পর্ব -০২

উত্তোলন সংক্রান্ত জাবেদা | উত্তোলন হিসাব সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান ।

হিসাববিজ্ঞান নবম-দশম শ্রেণি অধ্যায়:৬ – জাবেদাঃ ক্রয় সংক্রান্ত জাবেদা (খুব সহজ নিয়মে শিখুন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *