মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা | মূলধন সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা কিভাবে করতে হয় ?

স্টাডিইনবাংলা.কম –এ স্বাগত জানাচ্ছি ।  সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, বিগত কয়েকটি পোস্ট –এ নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়-জাবেদা –এর পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত জাবেদা,  উত্তোলন সংক্রান্ত জাবেদা, কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা পর্ব -০১,  কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা পর্ব -০২ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা পর্ব -০৩  প্রভৃতি শিরোনামে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হয়েছিল ।  আজকের এই পোস্ট –এ মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা উদাহরণসহ স্টাডিইনবাংলা তে আলোচনা করা হল ।  আশা করছি, এই পোস্টটি অনুসরণ করলে মূলধন সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদানে  কোনো সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ ।

লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়

হিসাববিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য    এবং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করে এমন ঘটনাগুলোকে লেনদেন বলা হয় ।  দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি মোতাবেক প্রতিটি আর্থিক লেনদেনের কমপক্ষে দুইটি পক্ষ বিদ্যমান থাকবে ।  একটি ডেবিট পক্ষ ও একটি ক্রেডিট পক্ষ ।  প্রতিটি লেনদেনেই সর্বদা একটি ডেবিট পক্ষ ও একটি ক্রেডিট পক্ষ থাকবে বিষয়টি এমন নয় বরং লেনদেন অনুযায়ী একের অধিক ডেবিট পক্ষ ও একের অধিক ক্রেডিট পক্ষ থাকতে পারে ।  তবে সর্বাবস্থায়  ডেবিট পক্ষের মোট টাকার পরিমাণ, ক্রেডিট পক্ষের মোট টাকার পরিমাণের সমান হবে ।  জাবেদা প্রদানের ক্ষেত্রে লেনদেনের পক্ষগুলো চিহ্নিত করে উপযুক্ত হিসাব শিরোনামও প্রদান করতে হয় ।  যেমন : নগদে পণ্য ক্রয় ১০,০০০ টাকা, এখানে ক্রয় হিসাব ডেবিট হবে ১০,০০০ টাকা ও নগদান হিসাব ক্রেডিট হবে ১০,০০০ টাকা ।  পণ্য, মাল, চেক প্রভৃতি নামে কোনো হিসাব হবে না ।

মূলধন সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়

হিসাববিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রতিষ্ঠানকে নগদ অর্থ, পণ্যদ্রব্য, সম্পদ বা কোনো প্রকার সুবিধা প্রদান করলে- প্রতিষ্ঠানে মালিকানা স্বত্ব বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদের উপর মালিকের দাবি বৃদ্ধি পায় তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট করতে হয় ।  অপরপক্ষে, এই সুবিধা প্রদানের কারণে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে উক্ত সম্পদ হিসাব ডেবিট করতে হয়, কোনো খরচ নির্বাহ করা হলে উক্ত খরচ হিসাব ডেবিট করতে হয় ।  যেমন : নগদ ১,০০,০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করা হল, এই লেনদেনের কারণে একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থের(সম্পদ) পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট হবে ১,০০,০০০ টাকা এবং অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানে মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট হবে ১,০০,০০০ টাকা ।

আরেকটি উদাহরণ : মালিকের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে কারবারের বেতন দেওয়া হল ২০,০০০ টাকা । এখানে, একদিকে বেতন প্রদান করার ফলে কারবারের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বেতন হিসাব ডেবিট হবে ২০,০০০ টাকা, অন্যদিকে মালিকের অর্থ দিয়ে এই খরচ প্রদান করার কারণে মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট হবে ২০,০০০ টাকা ।

মূলধন সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০১

৯০,০০০ টাকা মূলধনস্বরুপ বিনিয়োগ করা হল / ৯০,০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসায় শুরু করা হল / ব্যবসায়ে মূলধন আনা হল ৯০,০০০ টাকা / জনাব শাহিন ৯০,০০০ টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন / আইন পেশায় ৯০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা হল ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                        ডেবিট           ৯০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                        ক্রেডিট           ৯০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০২

জনাব পারভেজ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে নগদ ১০,০০০ টাকা ও ৩০,০০০ টাকার আসবাবপত্র নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করেন ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                             ডেবিট ১০,০০০ টাকা

আসবাবপত্র হিসাব                      ডেবিট ৩০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                ক্রেডিট ৪০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট, আসবাবপত্র (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই নগদ অর্থ এবং আসবাবপত্র, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই এগুলোর মোট টাকার পরিমাণ নিয়ে মুলধন হিসাব ক্রেডিট ।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৩

জনাব মিলন ২০২০ সালের ১ মে তারিখে নগদ ৭০,০০০ টাকা এবং ৩০,০০০ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স নিয়ে ব্যবসায় শুরু করলেন।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                            ডেবিট  ৭০,০০০ টাকা

ব্যাংক হিসাব                             ডেবিট  ৩০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                           ক্রেডিট  ১০০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট, ব্যাংক জমা (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ব্যাংক হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই নগদ অর্থ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই এগুলোর মোট টাকার পরিমাণ নিয়ে মূলধন হিসাব ক্রেডিট ।

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৪

ব্যবসায়ের মালিক তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের ১০,০০০ টাকা ব্যবসায়ের ব্যাংক হিসাবে জমা দিলেন ।

জাবেদা দাখিলা

ব্যাংক হিসাব                     ডেবিট ১০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                    ক্রেডিট ১০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক জমা (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ব্যাংক হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই ব্যাংক ব্যালেন্স, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৫

ব্যবসায়ের মালিক জনাব জামাল তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলটি ৯০,০০০ টাকায় বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ কারবারে নিয়ে আসেন ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                        ডেবিট ৯০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                    ক্রেডিট ৯০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৬

জনাব শাহেদ ৩০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                   ডেবিট ৩০,০০০ টাকা

ঋণ হিসাব                         ক্রেডিট ৩০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই নগদ অর্থ, তৃতীয় পক্ষ হতে ঋণস্বরূপ নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ঋণ হিসাব ক্রেডিট ।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৭

জনাব আমজাদ নগদ ৩০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                        ডেবিট ৫০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                        ক্রেডিট ৩০,০০০ টাকা

ঋণ হিসাব                            ক্রেডিট ২০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৫০,০০০ টাকা  তাই নগদান হিসাব ডেবিট ৫০,০০০ টাকা।
এখানে, ৫০,০০০ টাকা = মালিক প্রদত্ত ৩০,০০০ টাকা + ঋণকৃত ২০,০০০ টাকা ।
অন্যদিকে ৩০,০০০ টাকা, ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৩০,০০০ টাকা ।
২০,০০০ টাকা, তৃতীয় পক্ষ হতে ঋণস্বরূপ নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ঋণ হিসাব ক্রেডিট ২০,০০০ টাকা।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৮

জনাব আলম ২০২০ সালের ১ জুন তারিখে  ৫০,০০০ টাকা নগদ, ১৫,০০০ টাকার আসবাবপত্র এবং ৩০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                       ডেবিট    ৮০,০০০ টাকা

আসবাবপত্র  হিসাব             ডেবিট    ১৫,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                        ক্রেডিট  ৬৫,০০০ টাকা

ঋণ হিসাব                            ক্রেডিট   ৩০,০০০ টাকা

 

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৮০,০০০ টাকা তাই নগদান হিসাব ডেবিট ৮০,০০০ টাকা।
এখানে, ৮০,০০০ টাকা = মালিক প্রদত্ত ৫০,০০০ টাকা + ঋণকৃত ৩০,০০০ টাকা ।
আসবাবপত্র (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ১৫,০০০ টাকা তাই আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ১৫,০০০ টাকা ।
অন্যদিকে নগদ ৫০,০০০ টাকা এবং ১৫,০০০ টাকার আসবাবপত্র উভয়ই ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৬৫,০০০ টাকা (৫০,০০০ টাকা + ১৫,০০০ টাকা =৬৫,০০০ টাকা) ।
৩০,০০০ টাকা, তৃতীয় পক্ষ হতে ঋণস্বরূপ নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ঋণ হিসাব ক্রেডিট ৩০,০০০ টাকা।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ০৯

জনাব হাশেম ২০২০ সালের ০১ জানুয়ারি তারিখে  নগদ ২০,০০০ টাকা ও ৫০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                   ডেবিট    ২০,০০০ টাকা

ক্রয় হিসাব                      ডেবিট    ৫০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                 ক্রেডিট    ৭০,০০০ টাকা

 

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০,০০০ টাকা তাই নগদান হিসাব ডেবিট ২০,০০০ টাকা।
“ ৫০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য ” -এর বিষয়ে মনে করতে হবে ব্যবসায়ের মালিক ৫০,০০০ টাকার পণ্য ক্রয় করে ব্যবসায়ে এনেছেন ।  এ কারণে ক্রয় (খরচ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ক্রয় হিসাব ডেবিট ৫০,০০০ টাকা ।  উল্লেখ্য পণ্য, মাল , চেক প্রভৃতি নামে কোনো হিসাব হবে না ।
অন্যদিকে নগদ ২০,০০০ টাকা এবং ৫০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য উভয়ই ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৭০,০০০ টাকা (২০,০০০ টাকা + ৫০,০০০ টাকা = ৭০,০০০ টাকা)।

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ১০

অফিস কর্মচারীদের বেতন মালিকের ব্যক্তিগত তহবিল হতে দেওয়া হল ১০,০০০ টাকা ।

জাবেদা দাখিলা

বেতন হিসাব                   ডেবিট     ১০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                ক্রেডিট    ১০,০০০ টাকা

 

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে বেতন প্রদান করার কারণে কারবারের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বেতন হিসাব ডেবিট ।
অন্যদিকে এই খরচের অর্থ মালিক প্রদান করছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ।

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ১১

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি তারিখা  জনাব মিলন নগদ ৫০,০০০ টাকা, ২০,০০০ টাকার আসবাবপত্র, ৪০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য এবং ৫০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব                      ডেবিট ১০০,০০০ টাকা

আসবাবপত্র হিসাব             ডেবিট ২০,০০০ টাকা

ক্রয় হিসাব হিসাব              ডেবিট ৪০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                      ক্রেডিট ১১০,০০০ টাকা

ঋণ হিসাব                           ক্রেডিট ৫০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ১,০০,০০০ টাকা তাই নগদান হিসাব ডেবিট ১,০০,০০০ টাকা।
এখানে, ১,০০,০০০ টাকা = মালিক প্রদত্ত ৫০,০০০ টাকা + ঋণকৃত ৫০,০০০ টাকা ।
আসবাবপত্র (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০,০০০ টাকা তাই আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ২০,০০০ টাকা ।
পণ্যদ্রব্য ব্যবসায়ে নিয়ে আসার কারণে ক্রয় (খরচ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৪০,০০০ টাকা তাই ক্রয় হিসাব ডেবিট ৪০,০০০ টাকা ।
অন্যদিকে নগদ ৫০,০০০ টাকা, ২০,০০০ টাকার আসবাবপত্র এবং ৪০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ১,১০,০০০ টাকা (৫০,০০০ টাকা + ২০,০০০ টাকা + ৪০,০০০ টাকা = ১,১০,০০০ টাকা)।
৫০,০০০ টাকা, তৃতীয় পক্ষ হতে ঋণস্বরূপ নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ঋণ হিসাব ক্রেডিট ৫০,০০০ টাকা।

 

মূলধন সংক্রান্ত জাবেদা : লেনদেন নম্বর ১২

জনাব পারভেজ ১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে নগদ ৬,০০,০০০ টাকা, ৮০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ও ৪০,০০০ টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসায় শুরু করলেন ।

জাবেদা দাখিলা

নগদান হিসাব ডেবিট ১০০,০০০ টাকা

নগদান হিসাব                  ডেবিট    ৬,৪০,০০০ টাকা

আসবাবপত্র হিসাব         ডেবিট    ৮০,০০০ টাকা

মূলধন হিসাব                  ক্রেডিট  ৬,৮০,০০০ টাকা

ব্যাংক ঋণ হিসাব           ক্রেডিট   ৪০,০০০ টাকা

 

ব্যাখ্যা

এই লেনদেনের ফলে,
একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৬,৪০,০০০ টাকা তাই নগদান হিসাব ডেবিট ৬,৪০,০০০ টাকা।
এখানে ৬,৪০,০০০ টাকা = মালিক প্রদত্ত ৬,০০,০০০ টাকা + ব্যাংক থেকে ঋণকৃত ৪০,০০০ টাকা ।
আসবাবপত্র (সম্পদ) –এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৮০,০০০ টাকা তাই আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ৮০,০০০ টাকা ।
অন্যদিকে নগদ ৬,০০,০০০ টাকা এবং ৮০,০০০ টাকার আসবাবপত্র উভয়ই ব্যবসায়ের মালিক হতে পাওয়া যাচ্ছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৬,৮০,০০০ টাকা (৬,০০,০০০ টাকা + ৮০,০০০ টাকা = ৬,৮০,০০০ টাকা)।
৪০,০০০ টাকা, তৃতীয় পক্ষ (ব্যাংক) হতে ঋণস্বরূপ নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ঋণ হিসাব ক্রেডিট ৪০,০০০ টাকা।

 

জাবেদা সম্পর্কিত কিছু পোস্ট:

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাবেদা | নবম-দশম শ্রেণি | পর্ব -০১

উত্তোলন সংক্রান্ত জাবেদা | উত্তোলন হিসাব সংক্রান্ত লেনদেনের জাবেদা দাখিলা প্রদান ।

হিসাববিজ্ঞান নবম-দশম শ্রেণি অধ্যায়:৬ – জাবেদাঃ ক্রয় সংক্রান্ত জাবেদা (খুব সহজ নিয়মে শিখুন)

1 Comment

Add a Comment
  1. Such a helpful page ❤️🙃
    Thanks sir 🥺🤩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *